বাঁশের সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ টি গ্ৰাম : বিপাকে এলাকাবাসী

28th July 2021 12:14 pm বাঁকুড়া
বাঁশের সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ টি গ্ৰাম : বিপাকে এলাকাবাসী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাঁশের সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ টি গ্রামের ! চরম ভোগান্তিতে পাত্রসায়েরের শালী তীরবর্তী গ্রামগুলি ! ভরসা যোগাচ্ছেন প্রশাসন ভাঙ্গা সেতু নিয়ে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত শাসক-বিরোধী ।

শালী নদীতে জল বেড়ে ভেসে গেছে বাঁশের অস্থায়ী সেতু । জল যন্ত্রণায় চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ । বারংবার প্রশাসনের দুয়ারে গিয়েও মেলেনি সুরাহা, নেপথ্যে রাজনৈতিক তর্জা । চিত্রটা আপনার জেলা বাঁকুড়ার প্রান্তিক ব্লক পাত্রসায়েরের , যেখানে ফের শালী নদীর প্লাবনে চরম ভোগান্তির শিকার বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোস্বামী গ্রামসহ আট থেকে দশটি গ্রামের মানুষজন । সূত্রের খবর, গত সোমবার ভাটি বৃষ্টির জেরে শালী নদীতে জলস্তর বেড়ে ভেঙে গেছে , জলের স্রোতে ভেঙেছে গোস্বামী গ্রামের একমাত্র অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোটি । আর এর ফলে যাতায়াত কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে ৮-১০ টি গ্রামের মানুষজনের । বিকল্প হিসেবে রয়েছে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ঘুর পথ তবে সেখানেও রয়েছে সমস্যা ঘুরপথে রয়েছে একটি ভাষাপুল বর্ষায় সেটাও থাকে জলের তলায় ফলে চতুর্দিকে জলবেষ্টিত থাকে ওই সমস্ত গ্রামগুলি । চরম ভোগান্তিতে ভুগছে এই গ্রামগুলির প্রান্তিক কৃষকেরা এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা । তাদের দাবি একটাই, একটি স্থায়ী ব্রিজের নির্মাণ । তবে এই দাবি আজকের নয়, দীর্ঘদিন এই দাবি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা। ফলে এখন কার্যত দিশেহারা গ্রামবাসীগণ। 

যদিও এই ব্রিজ নির্মাণে আশ্বাস দিয়েছেন পাত্রসায়ের ব্লকের বিডিও নিবির মন্ডল । তিনি বলেছেন ওই সাঁকোটি মেরামতের জন্য আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রপোজাল পাঠিয়েছি ।

এই ঘটনাকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। একদিকে তৃণমূল বিজেপিকে তোপ দেগে বলছে, এলাকার মানুষ ভোটে বিজেপির বিধায়ক কে জয়ী করেছেন কিন্তু বিজেপি বিধায়কের কোনো দেখা মেলেনি এই সমস্যার মধ্যেও ।

এদিকে বিজেপির দাবি, সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও কেন ওই বৃষ্টি মেরামত হয়নি ? ক্ষমতায় তৃণমূল থাকার কারণে বিজেপি চাইলেও কাজ করতে পারছে না এসব এলাকায় ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।