দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাঁশের সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ টি গ্রামের ! চরম ভোগান্তিতে পাত্রসায়েরের শালী তীরবর্তী গ্রামগুলি ! ভরসা যোগাচ্ছেন প্রশাসন ভাঙ্গা সেতু নিয়ে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই ব্যস্ত শাসক-বিরোধী ।
শালী নদীতে জল বেড়ে ভেসে গেছে বাঁশের অস্থায়ী সেতু । জল যন্ত্রণায় চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ । বারংবার প্রশাসনের দুয়ারে গিয়েও মেলেনি সুরাহা, নেপথ্যে রাজনৈতিক তর্জা । চিত্রটা আপনার জেলা বাঁকুড়ার প্রান্তিক ব্লক পাত্রসায়েরের , যেখানে ফের শালী নদীর প্লাবনে চরম ভোগান্তির শিকার বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোস্বামী গ্রামসহ আট থেকে দশটি গ্রামের মানুষজন । সূত্রের খবর, গত সোমবার ভাটি বৃষ্টির জেরে শালী নদীতে জলস্তর বেড়ে ভেঙে গেছে , জলের স্রোতে ভেঙেছে গোস্বামী গ্রামের একমাত্র অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোটি । আর এর ফলে যাতায়াত কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে ৮-১০ টি গ্রামের মানুষজনের । বিকল্প হিসেবে রয়েছে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ঘুর পথ তবে সেখানেও রয়েছে সমস্যা ঘুরপথে রয়েছে একটি ভাষাপুল বর্ষায় সেটাও থাকে জলের তলায় ফলে চতুর্দিকে জলবেষ্টিত থাকে ওই সমস্ত গ্রামগুলি । চরম ভোগান্তিতে ভুগছে এই গ্রামগুলির প্রান্তিক কৃষকেরা এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা । তাদের দাবি একটাই, একটি স্থায়ী ব্রিজের নির্মাণ । তবে এই দাবি আজকের নয়, দীর্ঘদিন এই দাবি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা। ফলে এখন কার্যত দিশেহারা গ্রামবাসীগণ।
যদিও এই ব্রিজ নির্মাণে আশ্বাস দিয়েছেন পাত্রসায়ের ব্লকের বিডিও নিবির মন্ডল । তিনি বলেছেন ওই সাঁকোটি মেরামতের জন্য আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রপোজাল পাঠিয়েছি ।
এই ঘটনাকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। একদিকে তৃণমূল বিজেপিকে তোপ দেগে বলছে, এলাকার মানুষ ভোটে বিজেপির বিধায়ক কে জয়ী করেছেন কিন্তু বিজেপি বিধায়কের কোনো দেখা মেলেনি এই সমস্যার মধ্যেও ।
এদিকে বিজেপির দাবি, সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও কেন ওই বৃষ্টি মেরামত হয়নি ? ক্ষমতায় তৃণমূল থাকার কারণে বিজেপি চাইলেও কাজ করতে পারছে না এসব এলাকায় ।